Bengal liberty

স্বাধীন সাংবাদিকতার ব্রত নিয়ে Bengal Liberty-র যাত্রা অব্যাহত।

Mukut mani adhikari

Mukut mani adhikari

রানির মুকুট ভয় পেয়েছেন, bengal Liberty- র বিরুদ্ধে FIR (Mukut mani adhikari)

Bengal Liberty: কথায় আছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ Bengal Liberty-র নামে FIR করে সেটাই প্রমাণ করলেন গিরগিটি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। দলে পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে মুকুট এবং তাঁর আপ্তসহায়ক প্রিন্সের বিরুদ্ধে। একটি ফোন কল আমাদের হাতে আসতেই আমরা খবরটি প্রকাশ করি। তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন বিধায়ক। FIR করে Bengal Liberty-কে পুলিশ দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা তাঁর। যদিও, কোনও লাভ হবে না গিরগিটি বিধায়ক মশাই। খবর তো চেপে রাখা যায় না। আরও অনেক কেচ্ছাই তো আছে বাজারে। এবার সেটাও প্রকাশ্যে চলে আসবে হয়তো। যাই হোক, পরবর্তী ক্ষেত্রে ফোন করে FIR করব বলে জানিয়ে দেন। এ-কি কাণ্ড! এত ছটফট করলে হবে? রাজনৈতিক জীবন সদ্য শুরু হয়েছে। এখনই এত ধৈর্য হারাচ্ছেন মুকুটবাবু?

আরেকটা বিষয়, বিরোধী দল করেছেন আপনি, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের মতো শাসক দলও করছেন আপনি, আর স্বাধীন সাংবাদিকদের গায়ে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দিচ্ছেন? এ তো আজব কথা! যখন খবর করছিলাম, তখন আপনাকে ফোন করা হয়েছে। ফোন ধরেননি। আসলে ভয় ফোনটা যে অন্য কোথাও রেখেছিলেন কি-না, সেটা অন্তত আমাদের জানা নেই।

সেদিন কি কি অভিযোগ উঠেছিল মুকুটের বিরুদ্ধে?(Mukut mani adhikari)

Bengal liberty-র হাতে দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতার এক্সক্লুসিভ কলরেকর্ড এসেছিল। সেই কথোপকথনেই এক তৃণমূল কর্মীকে আরেকজন বলছেন, রানাঘাটের বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। মুকুটমণি সরাসরি নিজে কিছু না-বললেও, তাঁর আপ্তসহায়ক প্রিন্সকে দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করছে টাউন সভাপতি পদের জন্য। রেকর্ড প্রকাশ্যে আসার পর মুকুটমণিকে ফোন করা হলে ধরেননি। দীর্ঘ ভাবনা-চিন্তা করার পরদিন দুপুর ২-টোয় কলব্যাক করেন মুকুট। তারপর নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। বলেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবং, সেদিনই তিনি বলে দেন, যে সমস্ত মিডিয়া তাঁর বিরুদ্ধে খবর করেছে, তাদের নামে এফআইআর(FIR)করা হবে। সেই মতোই Bengal Liberty-র কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত পাঠিয়ে দেন।

 

mukut mani adhikari
mukut mani adhikari

মুকুটের উদ্দেশ্যে bengal liberty- এর বার্তা (Mukut mani adhikari)

Bengal Liberty এত ছোট্ট FIR-এ ভয় পায় না। শাসকের স্বভাব কাঁচিহীন, স্বাধীন এবং গেরিলা সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ। সেটাই তাঁরা করেছেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে, Bengal Liberty যেভাবে খবর প্রকাশ করে এসেছে, সেভাবেই করে যাবে। রুখতে পারলে রুখে দিন। চ্যালেঞ্জ রইল। জয় হিন্দ।