সৌমিত্র বোস, Bengal liberty: একটি অনস্বীকার্য বিতর্ক প্রতিটি দেশে প্রধান কূটনৈতিক বা ভূরাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীটা বহুকেন্দ্রিক হবে না এককেন্দ্রিক হবে। ট্রাম্পিও মার্কিন দেশটিতে সফেদ ইউরোপীয় অভিবাসীরা তাদের চিরাচরিত ধারা অনুযায়ী এককেন্দ্রিক মার্কিন আধিপত্যের (অপ)সংস্কৃতি সারা পৃথিবীতে অধিষ্ঠিত করতে চাইছে এবং এই চাওয়াকেই তাদের কর্মপ্রণালী করতে চাইছে বিশ্বব্যাপী।কিন্তু ব্যাপার সহজ নয়।মার্কিন আর্থিকস্থিতি মোটেই সুবিধাজনক নয়।যতই ট্রাম্প শুল্ক বাড়িয়ে দেবে, তার অভিঘাত গিয়ে পড়বে মার্কিন জনগণের ওপরে। সেখানে সাদা, কালো, ইউরোপীয় , এশিও অভিবাসী , পূর্বদাস আফ্রিকীয় সবার জন্যেই বস্তু সামগ্রীর দাম উর্দ্ধমুখী। সরকারি পরিষেবার চাকরিজীবি ব্যাপক হারে চাকরি হারাচ্ছে। ম্যানুফ্যাকচারিং বড়ো প্রতিষ্ঠানগুলো পাততাড়ি গোটাচ্ছে। বাইরের দেশের উদ্যোগীদের যে কারখানাগুলো মার্কিন দেশে এক প্রযুক্তিগত ঢেউ এনেছিল, তারা লোক লস্কর তাড়িয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে অন্য আর্থিক বিবদমান দেশগুলোতে ভেগে পড়ছে। ট্রাম্প-এর জনসমর্থন এমন কি সফেদ ইউরোপীয় মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের মধ্যে কমতে শুরু করেছে। শহরগুলো ট্রাম্প তো সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছে। মার্কিন দেশের আপাত বাহ্যিক খোলামেলার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ভীতিজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরকে রাজনৈতিক বা ভোটের সমীকরণের বাইরে রেখে শুধু মধ্য আমেরিকার সফেদ উচ্চবিত্ত কৃষকদের ভোটের ভিত্তিতে ট্রাম্পিও কাল্পনিক পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ার মুখে। আর্থিক সংখ্যাতত্ত্ব বা সমর্থনের হার (তা যতই কাল্পনিক বা জল মেশানো হোক না কেন) ক্রমশ এতটাই দ্রুত গতিতে অধোগতি হচ্ছে যে মাসিক পরিমাপ গুলো এখন মার্কিন সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে না হলে সরকার ছোট থেকে বড়ো সম্প্রচার মাধ্যমগুলোকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

ট্রাম্প এরপর আর কোনওদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না (Donald trump)
গণতন্ত্র এর ক্রমহ্রাসমান গুরুত্ব যে কমছে তাতে ট্রাম্পিও একনায়কতন্ত্রের বিশেষ কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ট্রাম্প-এর পর আর কোনওদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ সাংবিধানিক প্রাবধাণ নেই। মার্কিন রিপাব্লিকানদের কখনও পরবর্তী সরকারে তাদের দল কে ফিরিয়ে আনার কোনও দায় ছিল না. ট্রাম্পের তো কোনও বিবেচনাতেই ছিল না, এখন আরও থাকার কথা ন। সে তার নিজের পরিবারের নির্মাণ উদ্যোগকে যথাসম্ভব ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিয়ে কেটে পড়াতেই উৎসুক। কারণ পট বদলালে তাকে বহু মামলায় জড়িয়ে পড়তে হবে।এমনকী দীর্ঘকারাবাস হতে পারে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে তার প্রাক্তন বন্ধু বর্তমানে কিছুটা দূরে সরে থাকা স্তাবকদের মতো অনেকেই অর্থ ও সম্পদ সরিয়ে রাখতে ব্যস্ত। ট্রাম্পের কখনই বন্ধু ছিল না , যেমন বানিয়েদের থাকে না।
More Stories
আগামীকাল এসআইআর নিয়ে বড় বৈঠক (SIR Update)
গুরুতর জখম খগেন মুর্মু, স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তে নামল ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউল ট্রাইবস (national commission for scheduled tribes)
চোখের নীচের হাড়ে গুরুতর চোট খগেন মুর্মুর, অস্ত্রোপচারের সম্ভবনা (khagen murmu)